মোবাইল ফোন

মোবাইল ফোন[১] এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে বেতার তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। “মোবাইল ফোন” শব্দদ্বয় দ্বারা একই সঙ্গে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন ব্যবস্থা এবং গ্রাহকের ব্যবহার্য হ্যাণ্ডসেট বোঝানো হয়ে থাকে। এই হ্যাণ্ডসেটকে মোবাইল ফোন ছাড়াও সেলফোন, হ্যান্ড ফোন এবং মোবাইল ফোন হিসাবে অভিহিত করা হয়। এই ফোনসেট "স্থানান্তরযোগ্য" বা মোবাইল। এই ফোন সহজে যেকোনও স্থানে বহন করা এবং ব্যবহার করা যায় বলে “মোবাইল ফোন” নামকরণ করা হয়েছে। মোবাইল হলো বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে একটি অপরিহার্য ইলেকট্রিক যন্ত্র। এর মাধ্যমে বর্তমানে সব ধরনের যোগাযোগ করা সম্ভব এবং এটি পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় এবং পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
মোবাইল ফোন-এ কথা বলার জন্য বেতার তরঙ্গের সঙ্গে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফলে কথা বলার অতিরিক্ত অন্যান্য সেবা প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছে, যেমন: খুদে বার্তা -এসএমএস বা টেক্সট মেসেজ সেবা, এমএমএস বা মাল্টিমিডিয়া মেসেজ সেবা, ই-মেইল সেবা, ইন্টারনেট সেবা, অদৃশ্য আলো বা ইনফ্রা-রেড, ব্লু টুথ সেবা, ক্যামেরা, গেমিং, ব্যবসায়িক বা অর্থনৈতিক ব্যবহারিক সফটওয়্যার ইত্যাদি। যেসব মোবাইল ফোন এইসব সেবা এবং কম্পিউটারের সাধারণ কিছু সুবিধা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্টফোন নামে ডাকা হয়॥[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
সেলুলার ফোন প্রারম্ভিকভাবে পূর্বসূরীরা জাহাজ এবং ট্রেন থেকে এনালগ রেডিও কমিউনিকেশনের সাহায্যে ব্যবহার করত। মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার[৩] এবং জন ফ্রান্সিস মিচেলকে[৪][৫][৬] প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তাঁরা ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ২ কেজি (৪.৪ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন[৭]।

মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিক সংস্করণ বাজারে আসে ১৯৮৩ সালে, ফোনটির নাম ছিল মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০এক্স (DynaTAC 8000x)। মোবাইল ফোনের এ সংস্করণটি আকারে বড় হলেও এটি ছিল বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এক বৈপ্লবিক অগ্রগতি। এর পর থেকে ধীরে ধীরে আকার ছোট এবং সুবিধা বেশি করে আধুনিক মোবাইল ফোনের বিকাশ ঘটে।
১৯৯০-এর দশকে মোবাইল ফোনে ডিজিটাল প্রযুক্তির আগমন ঘটে, যা 2G (দ্বিতীয় প্রজন্ম) নেটওয়ার্ক হিসেবে পরিচিত [৮]। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো টেক্সট মেসেজিং (SMS) চালু হয়। এরপর 2000-এর দশকে 3G প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ইন্টারনেট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ভিডিও কল সম্ভব হয়। 4G[৯] প্রযুক্তি উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা এনে স্মার্টফোনকে আধুনিক জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত করে। বর্তমানে ৫জি প্রযুক্তি [১০] আরও দ্রুত ইন্টারনেট, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) এবং স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির বিকাশে নতুন যুগের সূচনা করেছে [১১] [১২]।
এছাড়াও, ২০০৭ সালে অ্যাপল প্রথম আইফোন বাজারে আনে, যা আধুনিক স্মার্টফোন বিপ্লবের সূচনা করে [১৩]। এর পর থেকে টাচস্ক্রিন, অ্যাপ স্টোর, ক্যামেরা উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) সংযোজনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয় বরং এক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল সহায়ক ডিভাইসে পরিণত হয়েছে [১৪][১৫]।
ব্যবহার প্রসারণ
[সম্পাদনা]১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে পৃথিবীব্যাপী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২.৪ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়নের বেশি হয়ে গেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭% মোবাইল ফোন যোগাযোগের আওতায় এসেছে[১৬][১৭][১৮]। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে মোবাইল প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হতে থাকে। ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের আবিষ্কার মোবাইল ব্যবহারের হারকে আরও ত্বরান্বিত করে। আজ মোবাইল ফোন শুধু কথোপকথনের মাধ্যম নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে।
২০১১ সালের পর থেকে ৪জি প্রযুক্তির বিস্তার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে [১৯]। ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন শিক্ষা, ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যাপক জনপ্রিয়তা মোবাইল ফোনকে মানুষের জীবনযাত্রার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। ২০২০ সালের পর ৫জি প্রযুক্তির সূচনা উচ্চগতির ইন্টারনেটকে আরও সহজলভ্য করে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস (IoT), মোবাইল ব্যাংকিং ও ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করে [২০]। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগ নয়, অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনের প্রধান হাতিয়ার হয়ে উঠেছে [২১]।[২২]
মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক
[সম্পাদনা]মোবাইল ফোন ব্যবস্থার অপারেটররা তাদের সেবা অঞ্চলকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ বা ষড়ভুজ ইত্যাদি আকারের অনেকগুলো ক্ষেত্র বা কোষে বিভক্ত করে। সাধারণত ষড়ভুজ আকৃতির কোষই বেশি দেখা যায়। এই প্রত্যেকটি অঞ্চলের মোবাইল সেবা সরবরাহ করা হয় কয়েকটি নেটওয়ার্ক স্টেশন (সচরাচর যেগুলোকে আমরা মোবাইল ফোন কোম্পানির এন্টেনা হিসেবে জানি) দিয়ে। নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলো আবার সাধারণত সেলগুলোর প্রতিটি কোণে অবস্থান করে। এভাবে অনেকগুলো সেলে বিভক্ত করে সেবা প্রদান করার কারণেই এটি "সেলফোন" নামেও পরিচিত। মোবাইল ফোন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বলে অনেক বড় ভৌগোলিক এলাকায় এটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে সংযোগ দিতে পারে।[২৩][২৪]
বর্তমান সময়ে ৫জি (5G) [২৫] প্রযুক্তির আগমন মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নতুন মাত্রা দিয়েছে। ৫জি সেলগুলো আরও ছোট, যা “মাইক্রোসেল” বা “ফেম্টোসেল” নামে পরিচিত। এতে নির্দিষ্ট এলাকায় উচ্চ গতির ইন্টারনেট ও কম লেটেন্সি নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, আধুনিক নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলোতে উন্নত অ্যান্টেনা সিস্টেম যেমন Massive MIMO (Multiple Input Multiple Output) ব্যবহার করা হচ্ছে, যা একাধিক ডিভাইস একই সময়ে দ্রুত ডেটা ট্রান্সফার করতে সক্ষম [২৬]। নেটওয়ার্ক অপারেটররা এখন AI ও ক্লাউড ভিত্তিক সেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করছে, যা ট্রাফিক পূর্বাভাস, স্বয়ংক্রিয় লোড ব্যালান্সিং এবং ব্যান্ডউইথ অপ্টিমাইজেশনকে আরও দক্ষ করে তুলছে [২৭]। এছাড়াও, গ্রীন বা পরিবেশবান্ধব নেটওয়ার্কের দিকে মনোযোগ বাড়ছে, যা কম শক্তি ব্যবহার করে সেল টাওয়ার পরিচালনা করতে সাহায্য করছে।
বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও সর্বশেষ অগ্রগতি (২০২৫ পর্যন্ত)
[সম্পাদনা]কোষের আকার ও কাঠামো
[সম্পাদনা]ষড়ভুজ আকারটি বেশি ব্যবহৃত হয় কারণ এটি এলাকা কভারেজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী এবং কোনো ফাঁকা স্থান বা ওভারল্যাপ তৈরি করে না। আধুনিক নেটওয়ার্কে কোষের আকার নির্ভর করে জনসংখ্যার ঘনত্ব, ট্রাফিক ডিমান্ড ও ভৌগোলিক অবস্থার ওপর। শহুরে এলাকায় ছোট ছোট মাইক্রোসেল ও পিকোসেল ব্যবহৃত হয়, যেখানে গ্রামীণ এলাকায় ম্যাক্রোসেল ব্যবহৃত হয় বৃহৎ কভারেজের জন্য। এই ধরনের কোষ পরিকল্পনা ব্যবহার করলে নেটওয়ার্কে কল ড্রপ বা সিগন্যাল লস কম হয়। ফলে ব্যবহারকারীরা দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য কনেকশন উপভোগ করতে পারে।
নেটওয়ার্ক স্টেশনের আধুনিক রূপ
[সম্পাদনা]পূর্বে নেটওয়ার্ক স্টেশনগুলো কেবলমাত্র ভয়েস কলের জন্য ব্যবহৃত হতো, কিন্তু এখন এগুলো মাল্টি-টেকনোলজি সাপোর্টেড— অর্থাৎ একই টাওয়ার থেকে ২জি, ৩জি, ৪জি, ৫জি এমনকি ৫জি অ্যাডভান্সড সেবা দেওয়া যায়। সর্বশেষ আপডেটে অনেক স্টেশনে ম্যাসিভ MIMO (Multiple Input Multiple Output) প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে, যা নেটওয়ার্কের গতি ও ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
বেতার তরঙ্গ প্রযুক্তির উন্নয়ন
[সম্পাদনা]২০২৫ সালের মধ্যে অনেক দেশ মিলিমিটার-ওয়েভ (mmWave) ও সাব-৬ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার শুরু করেছে, যা ৫জি-কে আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করেছে। বাংলাদেশেও কিছু অপারেটর ৫জি ট্রায়াল শুরু করেছে এবং ভবিষ্যতে ৬জি[২৮] গবেষণা এগিয়ে চলেছে, যেখানে টেরাহার্টজ ব্যান্ড ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
নেটওয়ার্ক কভারেজ ও স্যাটেলাইট সংযোগ
[সম্পাদনা]দুর্বল কভারেজ এলাকায় এখন স্যাটেলাইট-টু-ফোন কানেক্টিভিটি চালু হচ্ছে। অ্যাপল, হুয়াওয়ে ও স্টারলিংক (Starlink)-এর মতো সংস্থাগুলো মোবাইল ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সিগনাল দেওয়ার প্রযুক্তি বাজারে এনেছে, যা জরুরি পরিস্থিতি ও দূরবর্তী অঞ্চলে যোগাযোগ নিশ্চিত করছে।
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
[সম্পাদনা]মোবাইল নেটওয়ার্ক ভবিষ্যতে এআই-চালিত নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, কোয়ান্টাম কমিউনিকেশন সিকিউরিটি, এবং গ্রিন এনার্জি-ভিত্তিক টাওয়ার ব্যবহারের দিকে এগোচ্ছে, যা নেটওয়ার্ককে আরও স্মার্ট, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করবে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে, পাশাপাশি ডেটা নিরাপত্তা এবং ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে উন্নতি আনবে। নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক মেইনটেন্যান্স খরচও কমানো সম্ভব হবে।
বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]যদিও মোবাইল ফোন নির্মাতারা তাদের ফোনকে বিশেষায়িত করার জন্য অনেক আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট্য যোগ করছে প্রতিনিয়ত, তবুও সকল মোবাইল ফোনেরই কয়েকটি প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এদের অপরিহার্য অঙ্গ। এগুলো হচ্ছে -
- তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারী - ফোনের শক্তির উৎস হিসেবে কাজ করে।
- কোন ইনপুট পদ্ধতি যার সাহায্যে ফোন ব্যবহারকারীর সাথে ফোনের মিথস্ক্রিয়া বা দ্বি-পাক্ষিক যোগাযোগ সম্ভব হয়। সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত ইনপুট পদ্ধতি হচ্ছে কী প্যাড তবে ইদানীং স্পর্শ কাতর পর্দা বা টাচ স্ক্রীন তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
- সাধারণ মোবাইল ফোন সেবা যার দ্বারা ব্যবহারকারী কথা বলতে বা খুদে বার্তা পাঠাতে পারেন।
- জিএসএম ফোনগুলোয় সিম কার্ড থাকে। কিছু কিছু সিডিএমএ ফোনে রিম কার্ড থাকে।
- প্রতিটি স্বতন্ত্র ফোনের জন্য একটি করে স্বতন্ত্র আইএমইআই (IMEI) নাম্বার যার সাহায্যে ওই ফোনটিকে সনাক্ত করা যায়।
নিম্নস্তরের মোবাইল ফোনকে প্রায়ই ফিচার ফোন বলে ডাকা হয় এবং এগুলো শুধুমাত্র প্রাথমিক টেলিফোন যোগাযোগ সুবিধা দেয়। আর কিছু মোবাইল ফোন আরও অগ্রসর সুবিধা এবং কম্পিউটারের মত সেবা প্রদান করে, তাদেরকে স্মার্ট ফোন বলে।
বেশ অনেক মোবাইল ফোনের পরম্পরা কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীকে উদ্দেশ্য করে তৈরী করা হয়েছে। যেমন বহুজাতিক বা কর্পোরেট ব্যবহারকারীদের জন্য বিশেষায়িত ই-মেইল সুবিধা নিয়ে এসেছিল ব্ল্যাকবেরি। সনি-এরিক্সনের গান শোনার বিশেষায়িত 'ওয়াকম্যান' সিরিজ বা 'সাইবারশট' ক্যামেরা ফোন, নকিয়ার এন সিরিজ মাল্টি মিডিয়া ফোন এবং আইফোন সিরিজ বা স্যামসাং এর গ্যালাক্সী এস সিরিজ।
ব্যবহার
[সম্পাদনা]অনেক মোবাইল ফোনই স্মার্ট ফোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথা বলার পাশাপাশি এ ধরনের ফোনগুলো অন্যান্য বিষয়েও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- ই-মেইল, এসএমএস বা ক্ষুদেবার্তা, প্রেরণ ও গ্রহণ;
- ক্যালকুলেটর, মুদ্রা, সঙ্কেত বিষয়ক কার্যাবলী;
- ইন্টারনেট;
- গেমস খেলা;
- ছবি ও ভিডিও তোলা;
- ঘড়ির সময় দেখা;
- কথা রেকর্ড করা;
- ট্রেনের টিকিট বুকিং করা;
- বিদ্যুৎ/গ্যাস বিল দেয়া ইত্যাদি।
- টাকার আদানপ্রদান করা।
বাংলাদেশে মোবাইল ফোন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশে মোবাইল ফোন প্রথম চালু হয় ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে[২৯]। হাচিসন বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (এইচবিটিএল) ঢাকা শহরে AMPS মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সেবা শুরু করে।
পরবর্তীতে GSM প্রযুক্তিতে মোবাইল যোগাযোগের ভিত্তি গড়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালে গ্রামীণফোন, রবি (তৎকালীন Aktel), এবং বাংলালিংক (তৎকালীন Warid বা সেবা টেলিকম-এর অধীন) GSM লাইসেন্স লাভ করে; গ্রামীণফোন ১৯৯৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন শুরু করে। [৩০]
Citycell, পূর্বে Hutchison Bangladesh Telecom Limited (HBTL), CDMA ও EV-DO প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৯৯৩ সালে সেবা চালু করেছিল, তবে পরে ২০১৬ সালে সূচক সমস্যার কারণে অপারেশন বন্ধ হয়ে যায়। [৩১][৩২] বর্তমানে বাংলাদেশের মোবাইল সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় ১৮৬.৫০ মিলিয়নের ঘেঁষে পৌঁছেছে, যা দেশের প্রতিষেধ কোটা (সাবস্ক্রিপশন) হিসেবে নজির।
অপর দিকে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৪জি নেটওয়ার্ক গ্রহণের হার প্রায় ৬০ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ৫জি এখনও সীমিত trial পর্যায়ে রয়েছে। [৩৩]
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দৈনন্দিন পড়াশোনা, অনলাইন ক্লাস, তথ্য সংগ্রহ এবং যোগাযোগের পাশাপাশি অনেক তরুণ বিনোদন ও শেখার জন্যও স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল।[৩৪]
বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৪টি মোবাইল ফোন কোম্পানী রয়েছে। এদের মধ্যে ৪টি জিএসএম তবে একটি সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল সেবা দিয়ে থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে সব জিএসএম মোবাইল কোম্পানি ২০১৩ সাল থেকে তৃতীয় প্রজন্মের ৩জি সেবা দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে একমাত্র টেলিটক দেশিয় কোম্পানি। বর্তমানে রবি ও এয়ারটেল একীভূত হয়ে রবি হবার কাজ করছে। দেশে মোবাইল নম্বর গুলো ০১ দিয়ে শুরু। কান্ট্রি কোড সহ নম্বর হয় +৮৮০১*********। কান্ট্রি কোড ব্যতীত মোট ১১ ডিজিটের নম্বর ব্যবস্থা চালু এখন। মোবাইল কোম্পানীগুলো হল:
এয়ারটেল (বাংলাদেশ) কোড - ০১৬(ওয়ারিদকে কিনে নেয় )- বর্তমানে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালিত একটি স্বাধীন ব্যান্ড, যেটি রবি আজিয়াটা লিমিটেডের লাইসেন্সের অধীনে পরিচালিত।
- গ্রামীণফোন কোড -০১৭, ০১৩
- বাংলালিংক কোড -০১৯, ০১৪ (সেবাওয়ার্ল্ডকে কিনে নেয়)
- টেলিটক কোড -০১৫
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে মোবাইল সিমের গ্রাহক সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখ। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৮ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার, রবির ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার, বাংলালিংকের ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার ও টেলিটকের গ্রাহক ৬৪ লাখ ৬০ হাজার।[৩৫][৩৬]
সাম্প্রতিক অবস্থা (২০২৫)
[সম্পাদনা]২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর তথ্যমতে দেশে মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি ৬৬ লাখ। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৮০ হাজার, রোবির ৫ কোটি ৬৬ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৮০ লাখ এবং টেলিটকের ৬৫ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।[৩৭]
বাংলাদেশে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার ৬৩.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭২.৮ শতাংশ-এ পৌঁছেছে।[৩৮] একই সময়ে, দেশের ৫৪.৮ শতাংশ পরিবারে ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে।[৩৯]
২০২৫ সালের শুরুতে বাংলাদেশে সক্রিয় মোবাইল সংযোগের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮৫ মিলিয়ন।[৪০] বাজারে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে শাওমি (প্রায় ১৮% বাজার শেয়ার), এর পাশাপাশি স্যামসাং, ভিভো, রিয়েলমি ও অপ্পো উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে।[৪১]
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির ওপেনসিগন্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ভিডিও স্ট্রিমিং, ডাউনলোড স্পিড ও সামগ্রিক নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রয়েছে।[৪২] একই সময়ে, বাংলাদেশে ৫জি প্রযুক্তি পরীক্ষামূলকভাবে চালুর উদ্যোগও চলছে।[৪৩]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Mobile telephone"। Encyclopedia Britannica। Britannica। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Best Mobile Phones of 2025"। DevicesFinder.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Martin Cooper | Encyclopedia.com"। www.encyclopedia.com।
- ↑ "John F. Mitchell Biography"। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "The Top Giants in Telephony"। ১৭ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Who invented the cell phone?"। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Heeks, Richard (২০০৮)। "Meet Marty Cooper – the inventor of the mobile phone"। BBC। ৪১ (6): ২৬–৩৩। ডিওআই:10.1109/MC.2008.192।
- ↑ Group, P. B. E.। [ttps://pbeaxell.com/about/glossary/what-is-2g "Overview of 2G: Understanding the Second Generation of Mobile Technology"]। pbeaxell.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|শেষাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "4G in 2025: Satellite Integration, IoT Growth & the Shift Toward 5G"। DevicesFinder। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Bangladesh 5G Network Rollout Begins with Robi and GP"। MobilesInsight.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "History of the mobile phone: From 1G to 5G | TechBuzz by AT&T" (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ Moore, Author Kevin। "A Timeline from 1G to 5G: The Evolution of Mobile Communication"। www.mpirical.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|প্রথমাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ Vogelstein, Fred। "The Untold Story: How the iPhone Blew Up the Wireless Industry"। Wired (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 1059-1028। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "The History of Apple iPhones"। Verizon (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "1984: Motorola's Dynatac 8000X is released"। BBC Bitesize। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "ITU releases latest global technology development figures"। ITU। ৯ জুলাই ২০১০। ২৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ "Global mobile statistics 2012 Part A: Mobile subscribers; handset market share; mobile operators"। Mobithinking। ৯ আগস্ট ২০১২। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুলাই ২০১৩।
- ↑ Saylor, Michael (২০১২)। The Mobile Wave: How Mobile Intelligence Will Change Everything। Perseus Books/Vanguard Press। পৃ. ৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৯৩১৫৭২০৩।
- ↑ Al-Hussaini, Khalid (১ জানুয়ারি ২০২১)। "The Impact of 4G LTE Communication Technology on M-learning"। Global Summit on Applied Science, Engineering and Technology (GSASET2022)। ডিওআই:10.63019/JCHE.V1I2.610।
- ↑ sca (২৮ আগস্ট ২০২৫)। "US Payments Forum Resource Explores Role of AI, 5G, and IoT in Contextual Payments"। Secure Technology Alliance (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "5G technology and networks (speed, use cases, rollout)"। www.thalesgroup.com। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "History of mobile phones"। Uswitch। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Mobile Network Speed & Coverage Test in Bangladesh 2025"। DevicesFinder। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "What is a Cellular network or Mobile network?"। Samsung। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Bangladesh 5G Network Rollout Begins with Robi and GP"। MobilesInsight.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "Massive MIMO Explained: Unlocking 5G Efficiency"। ericsson.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "AI-powered network optimization: Unlocking 5G's potential with Amdocs"। Google Cloud Blog (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ Brooke Becher; updated by Matthew Urwin (১৩ জানুয়ারি ২০২৫)। "6G: What It Is, How It Works, When It Will Launch"। Built In। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ "মোবাইল ফোনের ইতিকথা-মোবাইল ফোনের ইতিকথা-"। Teachers Portal। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "Report on Telecommunication Industry of Bangladesh (A Study on Teletalk Bangladesh Limited)."। The Lawyers & Jurists। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ BD, Business Inspection (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Why Citycell Failed: From Pioneer to Failure"। Business Inspection BD (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|প্রথমাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য) - ↑ "Citycell Bangladesh Overview"। Assignment Point (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ Chat, Fusion (২০ অক্টোবর ২০২৪)। "Discover the 2025 forecast for the mobile economy in Bangladesh, including smartphone adoption and 5G network growth."। Fusion Chat (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "Best Mobile Phones for Students in Bangladesh 2025"। DevicesFinder.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ গ্রাহকদের আপত্তির মুখে পিছু হটলো গ্রামীণফোন, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ১০ জানুয়ারি ২০২৪
- ↑ "Bangladesh Mobile Market Report 2025: Data-Driven Research"। DevicesFinder। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Bangladesh sees 186.64 mln mobile subscribers in April"। Xinhua। ১৮ জুন ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Internet, smart phone users up in country"। The Financial Express। ৩ আগস্ট ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "54.8% households are now internet users: BBS"। The Business Standard। ৪ জুলাই ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Digital 2025: Bangladesh"। Datareportal। ফেব্রুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Mobile Vendor Market Share Bangladesh"। StatCounter GlobalStats। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
- ↑ "Mobile Network Speed & Coverage Test Bangladesh 2025"। DevicesFinder। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০২৫।
- ↑ "List of mobile network operators in Asia and Oceania"। Wikipedia। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫।
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |